ঢাকা , বুধবার, ০৭ মে ২০২৫ , ২৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পঞ্চগড়ে রাজনৈতিক সহিংসতায় বিএনপি নেতার মৃত্যু: সাবেক মন্ত্রী-ডিসি-এসপিসহ ১৫৪ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা


আপডেট সময় : ২০২৫-০৫-০৬ ২০:১৫:৪৪
পঞ্চগড়ে রাজনৈতিক সহিংসতায় বিএনপি নেতার মৃত্যু: সাবেক মন্ত্রী-ডিসি-এসপিসহ ১৫৪ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা পঞ্চগড়ে রাজনৈতিক সহিংসতায় বিএনপি নেতার মৃত্যু: সাবেক মন্ত্রী-ডিসি-এসপিসহ ১৫৪ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা



মোঃ মোহন মিয়া স্টাফ রিপোর্টার, পঞ্চগড়ে ২০২২ সালের ২৪ ডিসেম্বর বিএনপির একটি শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতে হামলার ঘটনায় সাবেক রেলমন্ত্রী, সাবেক জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি), প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা ও সরকারি কর্মকর্তাসহ মোট ১৫৪ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আরও সাত-আটশত জনকেও মামলায় আসামি করা হয়েছে।


বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল ওহাব আনসারী জানান, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পঞ্চগড় সদর থানাকে তদন্ত করে এজাহারভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার বাদী মোছা: শিরিনা আক্তার, বোদা উপজেলার চন্দনপাড়া এলাকার মৃত আব্দুর রশিদ আরেফিনের স্ত্রী। তিনি তার স্বামীর নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিচার এবং দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।


এজাহারে উল্লেখ আছে, বিএনপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশে জেলা প্রশাসন ও পুলিশের সহায়তায় ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা অতর্কিতে হামলা চালায়। পুলিশ তখন রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল ছোড়ে। বিএনপির নেতাকর্মীরা প্রাণ বাঁচাতে ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে।


হামলার সময় আব্দুর রশিদ আরেফিনকে ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা দিয়ে নির্মমভাবে আঘাত করা হয়। তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাকে উদ্ধার করতে গেলে নুরুজ্জামান বাবুকেও পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হয়। পরবর্তীতে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক আব্দুর রশিদকে মৃত ঘোষণা করেন এবং বাবুকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, যার মাথায় পাঁচটি সেলাই লাগে।


মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন: সাবেক রেলমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট

সাবেক এমপি নাঈমুজ্জামান ভূঁইয়া মুক্তা

সাবেক এমপি মজাহারুল হক প্রধান

সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান শেখ

সাবেক ডিসি জহুরুল ইসলাম

তৎকালীন পুলিশ সুপার এস এম সিরাজুল হুদা

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কনক কুমার দাস ও এস এম সফিকুল ইসলাম

সাবেক পৌর মেয়র জাকিয়া খাতুন

সদর থানার সাবেক ওসি আব্দুল লতিফ মিঞা

উপজেলা চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম

ভাইস চেয়ারম্যান কাজী আল তারেকসহ আরও অনেকেই।


এ ঘটনায় দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে প্রায় ছয় লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করা হয়েছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। রাজনৈতিক প্রতিপত্তির কারণে এতদিন মামলা করতে পারেননি বলে জানিয়েছেন বাদী।





 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin

কমেন্ট বক্স

প্রতিবেদকের তথ্য

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ